রিভিউয়ের রায় প্রকাশ, যাচ্ছে ট্রাইব্যুনালে
আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:৪৬:৪০

জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যেই লাল কাপড়ে মোড়ানো ২৯ পৃষ্ঠার রায়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি অফিসের একজন কর্মকর্তা রায়টি ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাবেন। পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে লাল কাপড়ে মোড়ানো রিভিউ খারিজের রায়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।
হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘২৯ পৃষ্ঠার রিভিউর রায় প্রকাশিত হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবে।’
মীর কাসেম আলী বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজই রায়ের কপি কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।সেখানে তাকে আজই রায়টি পড়ে শোনানো হবে।এর পরই শুরু হবে রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষার আবেদনের ক্ষণ গণনা।
আজ মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের ‘অর্থের যোগানদাতা’ হিসাবে পরিচিত এই ধনকুবের রিভিউ খারিজ করে দেন। এর মধ্যদিয়ে তার ফাঁসি কার্যকরে সকল আইনি বাধা দূর হলো।
রিভিউয়ের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই মীর কাসেম আলীর কাছে। তবে এর আগে মানবতাবিরোধী কোনো অপরাধীই রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাননি।আইমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের জন্য তিনি যুক্তিসঙ্গত সময় পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খুনি বাহিনী আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলী চট্টগ্রামে ডালিম হোটেলে নির্যাতনকেন্দ্র খুলে মুক্তিকামীদের নির্যাতন করতেন। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমউদ্দিনকে হত্যার দায়ে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনও আজ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতদের মধ্যে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সরকার। সে আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর তাদের দণ্ড কার্যকর হয়। তবে কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মতিউর রহমান নিজামী ক্ষমা চাননি। রিভিউ আবেদন নাকচের পর কাদের মোল্লাকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিতে জেল কর্তৃপক্ষ বেশি সময় না দিলেও কামারুজ্জামান ও নিজামীকে এক সপ্তাহের বেশি সময় দেয়া হয়েছিল।
মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজের পর এই জামায়াত নেতাকে কতদিন সময় দেয়া হবে, সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে। তিনি বলেন,‘প্রাণভিক্ষার জন্য রিজনেবল টাইমের কথা বলা হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয় সাত দিন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত সময়। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
(ঢাকাটাইমস/ ৩০ আগস্ট/এমবিএ/ এআর/ ঘ.)