যুবদল নেতা বাবর হত্যায় ১১ জনের ফাঁসি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:৪২:৪৫

জেলার তিতারকান্দি এলাকায় যুবদলকর্মী মাওলানা বাবর হত্যা মামলায় ১১ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের একটি আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয় চারজনকে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তিতারকান্দি গ্রামের মঞ্জু, মহিন উদ্দিন, কালামুন্সি, মামুন ওরফে সাইফুল ইসলাম মামুন, ভুট্টু ওরফে আবদুস শহিদ, আলম, মিরাজ, পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন, মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের আবুল বাশার, গোবিন্দপুর গ্রামের মোর্শেদ আলম ও জগন্নাথপুর গ্রামের মাসুদ।
খালাস পাওয়া চারজন হলেন- জামাল, নুরুল হুদা লবা, নসু ওরফে আলী হোসেন ও নুরুল হক। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মোর্শেদ ও মাসুদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৮ মার্চ তিতারকান্দি বাজারে ক্রিকেট খেলা দেখে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন মাওলানা বাবর। ওই এলাকার একটি মসজিদের কাছে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনার দুইদিন পর নিহতের ভাই নুরুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
পরে রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী সেলিম, চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হায়দারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এদের মধ্যে ইউসুফ আলী সেলিম সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেয়।
রায়ে সন্তোষ জানিয়ে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান মামলার বাদী ও স্বজনরা। রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর)