মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ১০ বছর বয়সী এক ছাত্রের অভিযোগের পর কয়েকশ এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আফজাল খানকে মারধর করে। পরে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত মীর।
এই ঘটনার পরও অভিযোগকারী ওই ছাত্রকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। আফজাল খানকে ঘিরে অভিযোগ উঠার পর মাদ্রাসাটিতে নিয়োগ দেয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাওলানা হোজায়ফা ওই ছাত্রকে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। সাংবাদিকরা ওই ছাত্রের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বাধা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক বছর আগে সিরাজদিখান উপজেলার ছাতিয়ানতলী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ খান তার ব্যক্তিগত অর্থে দোতলা ভবনে দারুল উলুম ছাতিয়ানতলী মুহাম্মাদীয়া কওমি মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ওই মাদ্রাসায় হাবিবুল্লাহ খান অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন তারই ভাতিজা আফজাল খানকে।
নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই আফজাল খানের বিরুদ্ধে নানা সময় ছাত্রদেরকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠে। সবশেষ তিনি তিনদিন আগে ১০ বছরের ওই ছাত্রকে বলাৎকার করেন বলে অভিযোগ করে ওই ছাত্র।
শিশুটি মাদ্রাসারই একজন শিক্ষককে ঘটনাটি জানানোর পর ওই শিক্ষক তা জানান এলাকাবাসীদের। আর স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে অধ্যক্ষের বিচার দাবি করে। তাকে মারধরও করা হয় সে সময়। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত মীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে আফজাল খানকে ছাড়িয়ে নেন।
শিশুদের বলাৎকারের অভিযোগ নিয়ে আফজাল খান কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত মীরের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে এই জনপ্রতিনিধি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করে অভিযোগ তদন্তে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি আমিও শুনেছি, তবে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’