প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল, ২০১৫ ১২:৫৭:৩৬আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৫ ১৮:০৯:০১
বাধনকাণ্ড মামলায়ও সবাই খালাস পায়!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই টিএসসি চত্বরটি অনেকের কাছেই অভিশপ্ত হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এই স্থানটি বহু অঘটনেরই এখন কেন্দ্রবিন্দু। ১৬ বছর আগে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় বাধন নামের এক মহিলা প্রকাশ্যে যৌন হয়রনির শিকার হয়েছিল। ঐ ঘটনার পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখিও বেশ। মামলাও হয়। কিন্তু বিচারে নামে প্রহসনের সেই পুরোনো সংস্কৃতি থেকে বের না হওয়ায় বার বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। গত পহেলা বৈশাখে সেই টিএসসি চত্বরে একাধিক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার এই ঘটনা হচ্ছে সর্বশেষ আলামত।
১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে মডেল কন্যা শাওন আক্তার বাঁধনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একদল হায়েনা। ঐ সময় উল্টো বাধনের বিঁচার চাওয়া হয়েছিল। বাধনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা ১১ বছর চলার পর তিন আসামির সবাই খালাস পেয়ে যান।
২০১০ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার সবাইকে খালাস দেয়।
আসামিরা ছিল-ফজলুল হক রাসেল, খান মেজবাউল আলম টুটুল ও চন্দন কুমার ঘোষ ওরফে প্রকাশ। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। রায়ে বিচারক বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণ করতে না পারায় আসামিদের খালাস দেয়া হলো।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাঁধন তার বান্ধবী শীলা রহমান, শীলার স্বামী জিল্লুর রহমান ও তার বন্ধু জাহাঙ্গীর একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে টিএসসি এলাকায় ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করতে আসেন। এ সময় ঐ তিন জনসহ আরও ১০-১২ জন তাদের গাড়ি থামিয়ে বাঁধনকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে। হামলাকারীরা বাঁধনের শ্লীলতাহানি করে।
তখন ওই ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন সংসদেও আলোচনা হয়। এ ঘটনায় ২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি বাঁধন বাদি হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। একই বছরের ১৪ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহাদাত হোসেন জানান, ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিলেও বাঁধন নিজেই সাক্ষ্য দেননি।