ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ। আল্লাহর প্রিয় ও নির্বাচিত বান্দারাই হজের সুযোগ লাভ করে থাকেন। যারা প্রথমবার হজে যাচ্ছেন অনেক তথ্য না জানার কারণে তাদের অনেক ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়। তাই এখানে নতুন হাজিদের জন্য কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো:
১. যারা বেসরকারিভাবে হজে যাচ্ছেন তারা নিজ নিজ এজেন্সির খোঁজখবর ভালোভাবে নিয়ে যাবেন। ২. হজে যাওয়ার আগেই খুব ভালোমতো হজের নিয়ম-কানুন শিখে নেবেন। ৩. ইহরাম অবস্থায় কী কী কাজ করতে পারবেন না তা ভালোভাবে জেনে নিন। ইহরাম অবস্থায় করণীয় কী তাও জানুন। ৪. হজের সময় দোয়া কবুল হওয়ার স্থানগুলো সম্পর্কে আগেই জেনে নিন। ৫. হজের সময় মসজিদে হারাম ও নববীতে প্রচুর ভিড় হয়। তাই নামাজের ওয়াক্ত শুরুর আগেই মসজিদে চলে যাবেন। ৬. হজের সময় নারীদেরও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে হয়। তাই আগেই মসজিদে নামাজের নিয়ম-কানুন শিখে নেয়া উচিত।
৭. বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সর্বক্ষণিক আপনার পরিচয়পত্র, মোয়ালেম কার্ড, হোটেলের কার্ড, কব্জি বেল্ট সঙ্গে রাখবেন। ৮. বিমানে ওঠার আগে থেকেই আপনার হ্যান্ডব্যাগে পাতলা জায়নামাজ এবং স্প্রে করা যায় এমন পানির বোতল অথবা তায়াম্মুমের মাটি রাখবেন। ৯. আপনি যখন মিনা, মুজদালিফা ও আরাফায় অবস্থান করবেন, তখন চেষ্টা করবেন আপনার ব্যাগের ওজন যেন কম হয়। কারণ অনেক হাঁটতে হবে এবং সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করতে হবে। ১০. ইহরাম অবস্থায় আপনি কোনো সুগন্ধি বা সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সুগন্ধিমুক্ত লোশন ও ভেসলিন ব্যবহার করতে পারেন।
১১. প্রয়োজনীয় ওষুধ বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাবেন। বিশেষ করে মুভ, প্যারাসিটামল, অ্যাসিডিটির ওষুধ, স্যালাইন ইত্যাদি। তাছাড়া নিয়মিত কেউ যদি কোনো ওষুধ খায় সেগুলো কত দিনের প্যাকেজের জন্য যাচ্ছেন সেই হিসেবে সঙ্গে রাখবেন। ১২. আপনার লাগেজের গায়ে বাংলাদেশের পতাকার ছাপ লাগাতে হবে এবং লাগেজের গায়ে বাংলা, ইংরেজি ও আরবিতে বাংলাদেশ লিখতে হবে। তাছাড়া নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোয়ালেম নম্বর লিখতে হবে। ১৩. যেখানেই যাবেন চেষ্টা করবেন ২-৩ জন একসঙ্গে থাকতে, তাতে অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আর টাকা-পয়সা অবশ্যই সাবধানে রাখবেন।