মুসলমান কাকে বলে? ইসলামে পূর্ণতা আসে কীভাবে? যারা কোরান, হাদিস, আল্লাহ, রাসুল, সাহাবা, তাবেয়ীন, উলামায়ে মুজতাহিদিন এদের অনুসরণ করেন তারাই মুসলমান। মনে রাখতে হবে শুধু নামে মুসলমান হয় না। শুধু ইসলামি পোশাক পরলেই মুসলমান হওয়া যায় না। আল্লাহ মুসলমানদের উদ্দেশ করে বলেছেন, তোমরা যারা আমার ওপর ইমান এনেছ তারা ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ কর।
এক পা ইসলামে আরেক পা অন্য কোথাও এটার নাম প্রবেশ করা নয়। দু’পা যখন মানুষ একটি ঘরের ভেতরে রাখে তখন পরিপূর্ণভাবে সে প্রবেশ করে। আল্লাহ তায়ালা মুমিন বান্দাদের বলছেন, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। পুরোপুরি ইসলামে দাখিল করা মানে হলো, যে জিনিসটা ইসলামে হালাল, তা হালাল হিসেবে মেনে নিতে হবে। যে জিনিসটা হারাম তা হারাম হিসেবে মেনে নিতে হবে।
আমাদের প্রত্যেকের যে দায়-দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কিছু করলাম, কিছু বাদ দিলাম; মনে চাইলে করলাম, মনে না চাইলে বাদ দিয়ে দিলাম এর নাম ইসলাম নয়। ইসলাম হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। পালন করলে তা পুরোটাই করতে হবে, বাদ দিলে পুরোটাই দিতে হবে। এখানে ছাড়াছাড়ির কোনো সুযোগ নেই। কারণ রুহের জগতে প্রত্যেকেই আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে এসেছি। সেদিন আল্লাহ আমাদের উদ্দেশে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি কি তোমাদের রব নই, আমরা বলেছিলাম হ্যাঁ তুমি আমাদের রব। যারা এই ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন তারাই তো মুসলমান।
সেদিন যেহেতু আল্লাহর অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়ে গেছি সুতরাং আজ আর বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পূর্ণাঙ্গ মুসলমান মানেই হলো নিজের কোনো ইচ্ছা থাকবে না, সব ইচ্ছা আবর্তিত হবে আল্লাহর নির্দেশের সঙ্গে। মৃত ব্যক্তি গোসলদাতাদের হাতে যেমন অসহায়, তার যেমন করার কিছুই থাকে না, তেমনি আমরা সবাই দীন ও শরিয়তের ক্ষেত্রে এমন। এখানে আমাদের কোনো যুক্তি-তর্ক ও মনোবাসনা চলবে না, এখানে প্রভুর নির্দেশনাই একমাত্র অবলম্বন করতে হবে। যারা নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে আত্মনিবেদন করতে পারবে তারাই প্রকৃত মুসলমান; তাদের জন্যই উভয় জাহানে রয়েছে সুসংবাদ। ইসলামের বিধি বিধান অমান্য করা যাবে না কোনোভাবেই।