অবশেষে অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতল ব্রাজিল। নাটকীয় টাইব্রেকার শেষে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা জার্মানিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সোনা জয়ের কীর্তি গড়েছে।
এদিন নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে নাটকীয় টাইব্রেকারের ইতি ঘটে ৫-৪ ব্যবধানে।
জার্মানিকে হারিয়ে ব্রাজিল একটি হিসেব চুকিয়ে ফেলল। ২০১৪ বিশ্বকাপে ৭-১ গোলে হারার দুই বছর পর জার্মানদের দুঃখ দিল তারা।
রবিবার মারাকানায় প্রায় ৭৮ হাজার দর্শক এসেছিলেন। এদের মধ্যে দেখা গেছে বোল্টকেও। সমর্থকদের খালি হাতে ফিরতে দেননি নেইমাররা। ১৯৮৪, ১৯৮৮ এবং ২০১২ সালের অলিম্পিক ফাইনালে তারা যা করতে পারেননি তা করে দেখালেন এই ২০১৬ সালে এসে।
অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জেতার খুব কাছে গতবার ব্রাজিলকে নিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। সেবার পারেননি, মেক্সিকোর কাছে ফাইনাল হেরে পুড়েছিলেন বেদনায়।
রবিবার রাতে ম্যাচের ২৭তম মিনিটে অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলের পোস্টারবয়। চলতি আসরে এটি তার চতুর্থ গোল।
৫৮তম মিনিটে সমতায় পেরে জার্মানি। জেরেমি টোলিয়ানের কাছ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান মাক্সিমিলিয়ান মায়ার।
পুরো সময়ে ব্রাজিল দারুণ ছন্দবদ্ধ ফুটবল খেলেছে। প্রচুর সুযোগ তৈরি করেও নির্ধারিত সময়ে জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি তারা। যে ভাগ্য লেখা আছে টাইব্রেকারে। সে কী আর আগেভাগে ধরা দেয়!
জার্মানির পঞ্চম পেনাল্টি শট ফিরিয়ে নায়ক বনে যান ব্রাজিলের গোলরক্ষক।
টাইব্রেকারে জার্মানির হয়ে গোল করেন মাথিয়াস জিন্টার, সের্গে জিনাব্রি, ইউলিয়ান ব্রান্ড, নিকলাস সুলে। তাদের তিনটি শট ঠিক দিকে ঝাঁপিয়েও ফেরাতে পারেননি ব্রাজিলের গোলরক্ষক। কিন্তু নিলস পিটারস তাকে জয় করতে পারেননি।