বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে, উৎসবের নগরী রিও ডি জেনিরো পরিণত হতে চলেছে বিরহের নগরীতে।
৫ আগস্ট জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ৩১তম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর্দা নামছে, সোমবার ভোরে। ব্রাজিল স্থানীয় সময় রাত ৮টায় মারাকানায় শুরু হবে এ সমাপনী অনুষ্ঠান (যা বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায়)।
সমাপনী অনুষ্ঠানর আগে আজ শেষ দিনের ক’য়েকটি ফাইনাল ইভেন্টেরও নিষ্পত্তি হবে। রিও অলিম্পিকে ২৮টি ক্রীড়ায় ৩০৬টি স্বর্ণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২০৬টি দেশের মোট ১১ হাজারেরও বেশি অ্যাথলিট। পদক জয়ে যথারীতি শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রশ্ন ছিল, ব্রাজিল ভালোভাবে আযোজন করতে পারবে তো? সেই শঙ্কা কাটিয়ে পুরোপুরি সফল দেশটি। কোনো রকম দুর্ঘনটা এবং উল্লেখ করার মতো অব্যবস্থাপনার খবর মিলেনি গত ১৬ দিনে।
৫ জুনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়েই চমক জাগিয়েছিল রিও ডি জেনিরো। যেখানে প্রধান বিষয় ছিল ব্রাজিলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বর্ণিল আতশবাজির ছটাও ছিল শেষভাগে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কী কী থাকছে- এই নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। আয়োজকরা এ ব্যাপারে বেশ গোপনীয়তা বজায় বজায় রেখেছেন। তবে জানা গেছে,শৈশবের বড় একটি অংশ ব্রাজিলে কাটানো বিখ্যাত নরওয়েজিয়ান সংগীতশিল্পী কাইগো গান গাইবেন সমাপনীতে। অন্যান্য শিল্পিদের অংশগ্রহণে নাচ-গান তো থাকবেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতো সমাপনী অনুষ্ঠানেও ব্রাজিলের সংস্কৃতি-ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। থাকবে অ্যাথলিটদের প্যারেড। ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার আবেল গোমেজ জানাচ্ছেন, ব্রাজিলের যা কিছু সেরা, তার পুরোটাই থাকবে সমাপনীতে।’
শারীরিক অসুস্থতার কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি। তবে সমপানী অনুষ্ঠানে তিনি থাকছেন বলেই জানা গেছে।
অলিম্পিক চার্টার অনুযায়ী, গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবে অলিম্পিক সভাপতির বক্তব্য। সেখানেই অলিম্পিক মশাল তুলে দেয়া হবে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক গেমস প্রতিনিধিদের হাতে। মশাল গ্রহণ করবেন টোকিওর মেয়র ইউরিকো কোইকে। এরপর নেভানো হবে রিও গেমসের অলিম্পিক মশাল।