শেষ শট নিতে আসার আগে বল ধরে চুমু খেলেন। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় এগিয়ে গেলেন। জার্মানির গোলরক্ষকের চোখে একবার চোখও রাখলেন। কয়েক সেকেন্ড শেষে নেইমার ‘মেসি’ হলেন না। ঠিকই ব্রাজিলকে আরাধ্য অলিম্পিক সোনা এনে দিলেন। আর ম্যাচ শেষে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্য করে বলে গেলেন, ‘ভালো ফুটবল খেলেই জবাব দিয়েছি।’
‘গতকালও আমরা সমালোচিত হয়েছিলাম। আজ ভালো ফুটবল খেলে জবাব দিয়ে গেলাম।’ টুর্নামেন্ট শুরুর দিকের কথা স্মরণ করে বলেন নেইমার।
ব্রাজিল এবার প্রথম দুই ম্যাচে নিরুত্তাপ ফুটবল খেলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা হুমকির মুখে ফেলেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইরাকের মতো দলের বিপক্ষে ড্র করেছিল দলটি।
রবিবার রাতে মারাকানা স্টেডিয়ামে ৭৮ হাজার দর্শকের সামনে দেখা গেল সেই পুরনো ব্রাজিলকে। ২৭তম মিনিটে নেইমারের অতিমানবীয় ফ্রিকিকে এগিয়ে যায় তারা। এরপর জার্মানিও গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারের হাতে।
১৯৮৪, ১৯৮৮ এবং ২০১২ সালের অলিম্পিক ফাইনালে যা করতে পারেনি পেলের উত্তরসূরিরা, নেইমাররা তা করে দেখালেন এই ২০১৬ সালে এসে।
ব্রাজিলের কোচ রোজেরিও মিকালে সব কৃতিত্ব দিয়ে গেলেন খেলোয়াড়দের, ‘আমাদের এমন কিছু খেলোয়াড় ছিল যারা নিবেদিত, পেশাদার এবং উন্নত টেকনিকের মালিক। আমার কাজ শেষে করে আমি এই স্থান ত্যাগ করছি।’
রবিবার রাতে জার্মানির পঞ্চম পেনাল্টি শট ফিরিয়ে নায়ক বনে যান ব্রাজিলের গোলরক্ষক।
টাইব্রেকারে জার্মানির হয়ে গোল করেন মাথিয়াস জিন্টার, সের্গে জিনাব্রি, ইউলিয়ান ব্রান্ড, নিকলাস সুলে। তাদের তিনটি শট ঠিক দিকে ঝাঁপিয়েও ফেরাতে পারেননি ব্রাজিলের গোলরক্ষক। কিন্তু নিলস পিটারস তাকে জয় করতে পারেননি।