অভাবনীয় সাফল্য দিয়ে রিও অলিম্পিক শেষ করলো ব্রিটেন। ২৭ স্বর্ণ, ২৩ রৌপ্য, ১৭ ব্রোঞ্জসহ মোট ৬৭ পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকেছে দেশটি। অথচ তাদের টার্গেট ছিল ৪৬ পদকের। ৪৬ স্বর্ণ, ৩৭ রৌপ্য, ৩৮ ব্রোঞ্জসহ ১২১টি পদক নিয়ে যথারীতি একচ্ছত্র আধিপত্য দিয়ে রিও মিশন শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু রিওতে নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেনি চীন।৭০টি পদক জিতলেও স্বর্ণ (২৬) ও রৌপ্য (১৮) জয়ে ব্রিটেনের চেয়ে পিছিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে চীনকে।
সাম্প্রতিক আসরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে জমজমাট যে পদক লড়াই চলে আসছিল রিওতে তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। বরং চীনকে পিছনে ফিলে চমক দেখায় ব্রিটেন। ১৯৮৪ অলিম্পিকের পর দেশটি কখনোই দুই নম্বরে আসতে পারেনি।
অথচ গেমস পূর্ব জরিপে বলা হয়েছিল, ১৮টি স্বর্ণসহ বড় জোর ৫৬টি পদক পেতে পারে ব্রিটেন। চীন ২৯ স্বর্ণসহ ৭১ পদক আর ৩৮ স্বর্ণসহ ৮৮ পদক পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু জরিপের সঙ্গে বাস্তব ফলের তেমন মিল দেখা যায়নি।
অলিম্পিকে আগে শীর্ষস্থান নিয়ে লড়াই চলতো যুক্তরাষ্ট্র ও সৌভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে। কিন্তু সৌভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পর থেকে উঠে আসে চীন। অন্যসব বিষয়ের সঙ্গে অলিম্পিকেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করতে থাকে চীনারা। ২০০৪ সালে এ্যাথেন্স অলিম্পিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল চীন আমেরিকার মধ্যে।
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে চমক দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করে নেয় স্বাগতিক চীন। ২০১২ লন্ডন অলিম্পকেও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের পদক লড়াই বেশ জমে উঠেছিল। এ আসরে ২৯টি স্বর্ণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের চেয়ে অনেকটাই পিছনে ছিল ব্রিটেন।
মনে করা হয়েছিল, রিওতেও চীনের নিচে থাকবে ব্রিটিশরা। কিন্তু সব অনুমান ও জরিপ মিথ্যা প্রমাণ করে চীনকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেয় তারা।
প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের দেশ চীন। রিওতে তাদের অ্যাথলেট সংখ্যা ছিল ৪১৩ জন। অন্যদিকে ২৫ কোটি মানুষের দেশ যুক্তরাষ্ট থেকে অংশ নেন ৫৫৪ জন। মাত্র সাড়ে ছয় কোটি মানুষ ব্রিটেনে। রিওতে তাদের মোট অ্যাথলেট ৩৩৬। জনসংখ্যা ও অ্যাথলেট গড়ে এবারের অলিম্পিকে সবচেয়ে সফল দেশ হচ্ছে গ্রেট ব্রিটেন।