কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বলদমারা সড়কের ৬৫টি গাছ কেটে ফেলেছেন একই ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল করিম। পরে এক লাখ টাকায় এসব গাছ বিক্রিও করে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার থেকে বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত ওইসব গাছ কেটে ফেলা হয়।
গাছ কেটে ফেলার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৪০টি গাছের গুড়ি উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
ওই এলাকার বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন অভিযোগ করেন, গত ২০০৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদের অধিনে বলদমারা সড়কের দুই পাশে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। আমাকে না জানিয়ে ইউক্যলিপটাস জাতের অপরিপক্ক জীবন্ত গাছগুলো কেটে ফেলেন একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল করিম। তার সঙ্গে সাইদুর রহমান, বাহার আলী ও আইয়ুব আলী নামে আরো চারজন ছিল।
বিষয়টি জানার পর আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরে পুলিশ এসে কেটে ফেলা গাছের ৪০টি গুড়ি জব্দ করে।
জানা গেছে, বাইটকামারী তাহের মোড় থেকে বলদমারা নৌকা ঘাট পর্যন্ত সড়কের অবৈধভাবে কাটা গাছের গুড়ি সরিয়ে নিচ্ছে।
গাছ ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ও সায়েজ উদ্দিন জানান, আমরা ৬৫টি গাছ এক লাখ টাকায় কিনে নিয়েছি ইউপি মেম্বারের কাছ থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন, আবেদ আলী, নুর হোসেন, নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, প্রকাশ্যেই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা নিষেধ করলে ইউপি মেম্বার নানা প্রকার হুমকি-ধামকি দিয়েছে। গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে সড়কটি এখন ন্যাড়া হয়ে গেছে।
অবৈধভাবে গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার আব্দুল করিমসহ অভিযুক্ত চারজন গাছ কাটার কথা স্বীকার করে জানান, রাস্তা সরকারি হলেও গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি এবং পরিচর্যা করেছি। এ কারণে সেগুলো আমরা কেটে ফেলেছি এবং তা বিক্রি করেও দিয়েছি। এখন পুলিশ এসে গাছ নিতে বাধা দিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকারি রাস্তার গাছ অবৈধভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম সাজেদুল ইসলাম জানান, কেটে ফেলা গাছের ৪০টি গুড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।