সিলেটে বাস ধর্মঘট: বিপাকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৬:৫৩:১৭
সিলেটে বাস ধর্মঘট: বিপাকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার্থীরা
সিলেট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
সিলেটে হঠাৎ করে ডাকা বাস ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। অনেক যাত্রী আগে থেকেই টিকিট বুকিং করে বাস না পেয়ে অনিশ্চয়তায় পরেছেন। মিলছে না ট্রেনের টিকেটও। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ঢাকাগামী শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।
আগামী কাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
অথচ, বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কেটে স্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন অনেক শিক্ষার্থী। অনেকে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে টিকিট না পেয়ে ফিরে আসেন। কখন ধর্মঘট শেষ হবে তাও জানাতে পারেনি কাউন্টারের লোকজন। এমতাবস্থায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাস না পেয়ে তারা বিকল্প মাধ্যমে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে রওয়ানা হয়েছেন মাইক্রো করে, আবার কেউ বসে আছেন ট্রেনের অপেক্ষায়।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ‘শুক্রবার পরীক্ষা। তাই আজ সকালের বাসের টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু টার্মিনালে আসার পর কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে বাস যাবে না। কিন্তু বিষয়টি আমাদের আগে জানানো হয়নি।’
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ‘বাস বন্ধ থাকায় এখন বিকল্প বাহনে ঢাকা যাওয়া লাগবে। কিন্তু ট্রেনের টিকিট নেই। আবার মাইক্রোর ভাড়াও অত্যাধিক। ফলে আমরা যথাসময়ে ঢাকা পৌঁছা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় রয়েছি।’
বুধবার দুপুরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সাতমাইলে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি পুড়িয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটের কদমতলী টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাস না পেয়ে টার্মিনালে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা।
সড়কে বাস ও শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ায় এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে দাবি করে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যকরী সভাপতি তেরা মিয়া।
তিনি বলেন, ‘গতকাল পুলিশের সামনেই আমাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর এবং রেকারে লাগানো হানিফ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে সন্ত্রাসীরা। একারণে আমাদের স্টাফরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই তারা গাড়ি বের করছেন না মালিকরা।