দিনভর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি শেষে সিলেটে ডাকা অনির্দিষ্টকালের দূরপাল্লার বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সড়ক দুর্ঘটনার পর বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ করে এ ধর্মঘট শুরু করে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর পুলিশের সঙ্গে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বৈঠক হয়।
বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা, পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানি না করাসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়। প্রশাসন এসব দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও বৃহস্পতিবার দিনভর সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। দূরপাল্লার বাস না চলায় সিলেট থেকে জরুরি প্রয়োজনেও অনেকেই বাইরে যেতে পারেননি। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে সিলেট থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ছিলেন চরম উৎকন্ঠায়।
গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফরিদপুর নামক স্থানে হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসের চাপায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও যুগলীগনেতা ইউনুছসহ দুই জন নিহত হন। পরে স্থানীয় জনতা ওই বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংগযোগ করে। এর প্রতিবাদে এবং ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার রাতে সংগঠনের জরুরি সভা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।