রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন স্বামী স্ত্রী। হঠাৎ আঘাত হানলো বজ্রপাত। তাতেই মারা গেলেন আরিফ হোসেন। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী। অন্য একটি বাড়িতে বজ্রপাতে আহত হন আরও দুই নারী।
শুক্রবার ভোরে জেলার ডোমার উপজেলার শেওটগাড়ী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন আপিলের স্ত্রী শিউলি বেগম, রিতা বেগম ও শাহের বানু। এদের মধ্যে শিউলি বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বজ্রের আঘাতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহের মাঝামাঝি পর পর দুই দিনেই অন্তত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে গণমাধ্যমে। এই হতাহতের বেশিরভাগই ঘটেছে বাড়ির বাইরে। তবে নীলফামারীতে বাড়ির মধ্যে বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, গত মধ্যরাত থেকেই এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। রাতে ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন নিহত ও আহত সবাই। হঠাৎ আরিফের শোয়ার ঘরে বজ্রপাত হলে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান তিনি। আহত হয় হন স্ত্রী শিউলি বেগম। একই রাতে বজ্রপাত আঘাত হানে ওই এলাকার আরও দুটি বাড়িতে। এর মধ্যে ইউনুস আলীর বাড়িতেও আহত হন রিতা ও শাহের বানু। আর আইয়ুব আলীর বাড়িতে বজ্রপাতের আঘাত হানলে প্রাণ হারায় একটি গরু।
হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘সকালেই ঘটনাটি জানতে পারলাম, এটা খুবই দুঃখজনক।’