এলাকার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের প্রত্যয় নিয়ে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ বেতারের কুমিল্লা কেন্দ্র। কিন্তু যাত্রার শুরু থেকেই নানা সমস্যা দেখা দেয়ায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের কোলঘেঁষে গড়ে উঠা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, অনুষ্ঠান বিভাগের মাইক ও যন্ত্রপাতির স্বল্পতা, লোকবল সংকট, আবাসিক এলাকার জরাজীর্ণ ভবন, পর্যাপ্ত পরিমাণ এয়ার কন্ডিশন না থাকা এবং প্রয়োজনের তুলনায় পরিবহন ব্যবস্থার অপ্রতুলতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ বেতারের কুমিল্লা কেন্দ্র। এত সমস্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এর যাবতীয় কার্যক্রম। শ্রোতাদের আগ্রহী করতে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো ব্যতিক্রমী উদ্যোগও।
অনুষ্ঠান সম্প্রসারণ বিভাগটির পর্যাপ্ত মাইক না থাকায় এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কম ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এনালগ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে একক এবং দলীয় সংগীতের সঠিক আওয়াজ শোনা যায় না। আবার প্রায় সময় যান্ত্রিক গোলাযোগের কারণে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হয় বলে শিল্পীদের অভিযোগ।
অন্যদিকে জনবল সংকট ও পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ না থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব কারণে এই বেতারকেন্দ্রটির কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘœ ঘটছে বলে জানিয়েছেন বেতারের আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবু তাহের রায়হান।
তিনি বলেন, শুরুতেই স্থায়ী পদে ৩০ জন ও অস্থায়ী পদে ১৬ কর্মকর্তা কর্মচারী ছিলেন। কিন্তু দিন দিন এই সংখ্যা কমে এসেছে। বর্তমানে স্থায়ী পদে ২০ জন এবং অস্থায়ী পদে পাঁচজন কর্মরত আছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লার আঞ্চলিক পরিচালক মো. আসাদ উল্লাহ বলেন, ‘আমরা সব সমস্যা চিহ্নিত করে কয়েকবার লিখিতভাবে তথ্য ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি’।