বরিশালে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি এবং জামায়াতের ১৬ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

আদালতে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে আজ রবিবার সরকারি নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এর নিটক চার্জশিট জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান মুরাদ।

একই সঙ্গে আসামি বিএনপি নেত্রী এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র শরিফ তাসলিমা কামাল পলিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আদালতের নিকট আবেদন করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক, বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, আরিফুর রহমান মুন্না, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তসলিম হাওলাদার ওরফে বড় তসলিম, বিএম কলেজ ছাত্র দলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়ী, জামায়াত ইসলামের সদস্য মঞ্জুরুল করিম, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার এর শ্যালক মামুন ওরফে শালা মামুন, কড়াপুর ইউনিয়নের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হুমায়ুন কবির তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান মীর, ১৪নং জামায়াত ইসলামের সভাপতি মো. কবির মিয়া, ১নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি বশির খান, ১০নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, জাগুয়া ইউপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সাদিকুর রহমান মিঠু ও ছাত্রদল নেতা মো. শফিউল হাসান জনি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি সকাল ৮টায় নগরীর হাসপাতাল রোডের কালিশিতলা মন্দিরের সামনে ভীতি সৃষ্টি ও অর্ন্তঘাত মূলক কাজের উদ্দেশ্যে অভিযুক্তরা বেআইনিভাবে জড় হয়ে ব্যাটারি চালিত অটোকিশায় (ইজি বাইক) পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে।

ঐ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেহান উদ্দিন বাদী হয়ে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নামধারী ১০ জনসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)