বাগেরহাটে ডাকাতিকালে শাহীন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে জেলার একটি আদালত। তার নাম সোহাগ শেখ। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের আমির আলী শেখের ছেলে।
দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। একই অপরাধে চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন বিচারক। তারা হলেন খুলনা মহানগরের টুটপাড়া এলাকার আল আমিন ওরফে তুহিন, রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের সোহাগ ওরফে জাহিদ ও শ্রীরামপুর গ্রামের জসিম, বটিয়াঘাট উপজেলার গাঁও গ্রামের মহির শেখ ওরফে নাজমুল।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি কাজী মনোয়ার হোসেন জানানন, ২০১১ সালের ২৯ জুলাই রাতে খুলনা-বাগেরহাট সড়কের বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকায় ডাকাতদল একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আরোহীদের কুপিয়ে জখম করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
আহতরা পরে মোবাইল ফোনে পরিচিতদের ডাকাতির খবর জানালে তারা সংগঠিত হয়ে ওই ডাকাতদলকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পাশের বড় পাইকপাড়া গ্রামে শাহীন শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গৃহকর্তা শাহীন এ সময় চিৎকার দিলে ডাকাতরা তাকে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে গ্রামবাসী সোহেল শেখ ও আল আমিনকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।
এই ঘটনার পরদিন ৩০ জুলাই রাতে মোটরসাইকেলের মালিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ৩১ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচারক সাতজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।