আইনজীবী নিয়োগ জটিলতায় চারশিশু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রতিনিধি
জেলার বাহুবলে আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো আইনজীবী নিয়োগ জটিলতায়। সোমবার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে।
বাদীপক্ষ এই মামলা পরিচালনার জন্য সরকারি কৌঁসুলির পাশাপাশি নিজেরাও আইনজীবী নিয়োগ করতে চাইলে এ জটিলতা তৈরি হয়।
মামলার বাদী আবদাল মিয়া জানান, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় এটি পরিচালনা করতে চান জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কাসেম মোল্লা মাসুম। বাদীপক্ষকে তিনি বলেছেন, এই মামলা পরিচালনার জন্য আলাদা আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজন নেই।
কিন্তু বাদী নিজেও আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান। এ জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেলার বাহুবলের সুদ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু আট বছরের জাকারিয়া আহমেদ শুভ, তার চাচাত ভাই ১০ বছর বয়সী তাজেল মিয়া, সাত বছর বয়সী মনির মিয়া এবং তাদের প্রতিবেশি ১০ বছর বয়সী ইসমাঈল হোসেন নিখোঁজ হয়। পাঁচ দিন পর বাড়ির অদূরে বালুমহাল থেকে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ৪ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবির তৎকালীন ভারব্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকতাদির হোসেন নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। আসামিদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামে একজন র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিচার শুরু আদেশ দেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ। সেদিনই ২৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন তারিখ ঠিক করা হয়।
নির্ধারিত দিন সোমবার কারাগার থেকে পাঁচ আসামি আবদুল আলী ওরফে বাগাল, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, হাবিবুর রহমান আরজু ও সায়েদ মিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়। আর তিন আসামি উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া এবং বাবুল মিয়া পলাতক রয়েছেন।