ঝালকাঠীর অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের পরিবহন শ্রমিকরা মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন। ফলে ঝালকাঠী থেকে অভ্যন্তরীণ ১৪ রুটে সকাল থেকে এবং দূরপল্লার রুটে বিকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ঝালকাঠীতে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশাল-ঝালকাঠী ও পিরোজপুরের যাত্রীরা। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে পিরোজপুর, বাগেরহাট ও খুলনা রুটের বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এ রুটের বাসগুলো ঝালকাঠী জেলা শহরের ওপর দিয়ে যেতে হয়।
পিরোজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আন্ধুল খালেক গত শনিবার পিরোজপুর শহরে ঝালকাঠীর এক পরিবহন শ্রমিককে মারধর করার প্রতিবাদে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে জানান পরিবহণ শ্রমিকরা।
ঝালকাঠী আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, গত শনিবার ঝালকাঠী মালিক সমিতির অধিন একটি যাত্রীবাহী বাস বরিশাল থেকে পিরোজপুরের যায়। পিরোজপুর জেলা জজ আদালত অতিক্রম করার সময় ওই বাসটি যানজটে পড়ে। বাসের পেছনে সরকারি গাড়িতে জিপে ছিলেন স্থানীয় সাংসদের ভাই পিরোজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক। জিপের সঙ্গে ইজিবাইকের ধাক্কা লাগার জন্য বাসটিকে দায়ী করে বাসের চালক নান্না সিকদারকে বেদম মারধর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। নান্না সিকদার বর্তমানে গুরুতর আহত হয়ে ঝালকাঠী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করে পিরোজপুর প্রশাসনকে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল ঝালকাঠীর পরিবহন শ্রমিকরা। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে বিচার না পাওয়ায় সকাল ৬টা থেকে তারা পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছেন।
এ ব্যপারে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা পিরোজপুর ও ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতিকে বসার জন্য বলেছি। তারা নিজেরা বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’