পাকিস্তানের ইসলামাবাদে চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ১৯তম সার্ক সম্মেলন হচ্ছে না। চারটি সদস্য দেন এই সম্মেলনে অংশ নেবে না এমন ঘোষণার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সার্ক সচিবালয়। খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।
নেপাল সার্কের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছে। গতকাল মঙ্গলবার 'বিদ্যমান পরিস্থিতি'র কারণে সার্ক সম্মেলনে যেতে অসম্মতি জানায় ভারত। সম্মেলন স্থগিত করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সার্কভুক্ত যেকোনো একটি দেশ সম্মেলন বয়কট করলে স্বাভাবিকভাবেই সম্মেলনটি স্থগিত ঘোষণা করা হবে। ভারতের পর বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটানও এ সম্মেলনে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সার্ক সম্মেলন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন এর বর্তমান চেয়ারম্যান।
সার্ক সম্মেলন স্থগিত হওয়া কোনো নজিরবিহীন ঘটনা নয়। ইতিপূর্বে ছয়বার নানা কারণে সার্ক সম্মেলন স্থগিত হয়েছে। এখন পাকিস্তানকে সদস্য দেশগুলোর সম্মতি নিয়ে সার্ক সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেপালকে জানায়, তারা এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না। চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মিরের উরিতে ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ডন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন সার্ক সম্মেলনে ভারতের যোগ না দেয়ার ঘোষণাকে দুঃখজনক বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো বিষয়টি জানায়নি। পাকিস্তান শান্তি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অঞ্চলের লোকজনের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা কাজ করে যাবো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভারত মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মিরে সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানকে এর জন্য দায়ী করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনেও এই নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তেজনা ছড়ায়।