বাল্যবিয়ে বন্ধ করে একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো তার সহপাঠীরা। বুধবার দুপুরে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইরানি খানমের বিয়ের দিনক্ষণ পাকাপোক্ত করার কথা ছিল। ইরানি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা আদর্শ কলেজের মানবিক বিভাগে পড়ালেখা করছে।
ইরানির স্বপ্ন-উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া তার। কিন্তু, সেই স্বপ্ন পূরণে হঠাৎ বাঁধ সাধে তার পরিবার। সিদ্ধান্ত হয় পড়ালেখা বন্ধ করে ইরানিকে বাল্যবিয়ে দেয়ার। পরিবারের এই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েন ইরানি। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে ইরানির পাশে দাঁড়ায় তার সহপাঠী বন্ধুরা। ওইদিনই ক্লাস শেষে দুপুরে কলেজ চত্বর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইরানিদের বাড়িতে যান সহপাঠী শ্রাবণী, লিজা, বন্যা, নসুফা ও জাহিমা খাতুন।
আমাদা আদর্শ কলেজে শিক্ষার্থী শ্রাবণী জানান, ইরানির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলার মধ্যদিয়ে তারা বাল্যবিয়ে বন্ধে সম্মত হন। ইরানির স্বপ্ন পূরণে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পরিবারের লোকজন। এ সময় পাত্রপক্ষকে বিয়ে ভেঙে দেয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, যশোর অঞ্চলের ইজিবাইকচালক পাত্রের সঙ্গে বুধবার ইরানির বিয়ের দিনক্ষণ পাকাপোক্ত করার কথা ছিল। ইরানি ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এবিএকে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ (এ-) হয়ে আমাদা আদর্শ কলেজে ভর্তি হন।