যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের উপস্থিতিতে নেত্রকোণা জেলা মহিলালীগের সম্মেলনে সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটুনি দেয়ার ঘটনায় বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে।
বুধবার দুপুরে স্থানীয় আলী উসমান শিশুপার্কের সামনে মানববন্ধন ও মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম আজাদের সঞ্চালনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আলতাব হোসেন, প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক রইস মনরম, সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী ইকবাল দোলন, মাসুম আহমেদ, শফিকুল ইসলাম সালেহ আহমেদ, রিপন কুমার বণিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাকস্বাধীনতা মিডিয়া কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে স্থানীয় মিডিয়ার কর্মীরা অংশ নেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার পাবলিক হলে জেলা মহিলালীগের সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পিনু খান,সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু, দপ্তর সম্পাদক কামরুননেছা মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খান, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান,মন্ত্রী আরিফ খান জয়ের বড়ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূর খান মিঠু উপস্থিত ছিলেন।
কামরুন্নেছা আশরাফ দীনার সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথিদের বক্তব্য শেষে নতুন কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ চারজনের নাম ঘো্ষণা করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু। এসময় দলটির একটি অংশ ঘোষিত এই নতুন কমিটি মানি না বলে হামলা,ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় সম্মেলনস্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয়। তাদের হামলায় প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক আহত হন।
শনিবার রাতে এ ঘটনায় দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে শহরের সার্কিটহাউজের সামনে থেকে আসাদকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় আসাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আসাদকে জামিন দেয়।