একেবারেই সাধারণের মতো বাসে উঠলেন মন্ত্রী। ধীরে ধীরে উঠলেন আরও যাত্রী। এক পর্যায়ে একজন যাত্রীর জন্য আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন মন্ত্রী। পরে সেভাবেই গন্তব্যে গেলেন তিনি।
রাজধানীর দুঃসহ যানজটের জন্য মাত্রাতিরিক্ত প্রাইভেট কারকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহী করার কথা বলছেন তারা। কিন্তু গনপরিবহনে সেবার মান নিয়ে হাজারো প্রশ্ন যাত্রীদের। এই বাস্তবতাতেই মন্ত্রী বাসে চড়েন।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কোনো প্রটোকল ছাড়াই বিআরটিসির বাসে ওঠেন সড়কমন্ত্রী। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে নামেন তিনি। যাত্রাপথে বাসের ওপরের তলা ও নিচে ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। যাত্রাপথে একজন নারী যাত্রী বাসে উঠলে নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে সেখানে তাকে বসিয়ে দাঁড়িয়ে যান মন্ত্রী।
মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অভিযোগের ডালা মেলে বসেন যাত্রীরা। কেউ বলেন, সেবার মান ভালো নয়, কেউ বলেন পর্যাপ্ত বাস না থাকায় নিত্য দুর্ভোগের কথা, কেউ বলেন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করছে পরিবহন শ্রমিকরা, কেউ বলেন নারীদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসে থাকে পুরুষরা, কেউ বলেন যানজটের কথা। ভিআইপিদের জন্য কখনও কখনও অতিরিক্ত সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
যাত্রীদের এসব অভিযোগ শুনে করণীয় ঠিক করবেন ও সিদ্ধান্ত নেবেন বলে যাত্রীদের আশ্বস্ত করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ধীরে ধীরে এর সুফল মিলবে। মেট্রোরেল চালু হয়ে গেলে যানজটও কমে আসবে বলে আশার কথা জানান তিনি।
যাত্রীদের অভিযোগের পর তাৎক্ষণিক প্রমাণও পেয়ে যান সড়ক মন্ত্রী। তিনি যে বাসে উঠেছিলেন তার ১২টি পাখার মধ্যে ঠিক ছিল কেবল একটি। ফলে তীব্র গরমে বাসের ভেতরের আবহাওয়া দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। সঙ্গে সঙ্গে বিআরটিসির মতিঝিল ডিপো ম্যানেজার ও পরিচালককে (টেকনিক্যাল) কারণ দর্শাতে বলেন সড়কমন্ত্রী।
অনেক যাত্রীকে মন্ত্রীর সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। সেসব ছবি সঙ্গে সঙ্গে আপলোড হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।