প্রকাশ : ১২ মার্চ, ২০১৬ ১৪:৩৬:৩০আপডেট : ১২ মার্চ, ২০১৬ ১৫:৪৮:০৯
‘ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো’
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
ঢাকা: স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর। অর্থলিপ্সু একদল মানুষের অপরিণামদর্শী লুটপাটে দেশজুড়ে নেমে আসে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কাছে হেরে যাচ্ছে যেন সদ্য স্বাধীন দেশ। ভাতের জন্য হাহাকার, মানুষ মরছে অনাহারে। তখন জনমনে যে ক্ষোভ জন্মে, তা একবাক্যে প্রকাশ করলেন এক কবি। এ শুধু কাব্যভাষায় প্রতিবাদ নয়, মনে রাখতে হবে সময়। ১৯৭৪ সালে সেই পরিস্থিতিতে এই পঙক্তি কম সাহসের ছিল না। বহুল আলোচিত সেই অমর কবিতাটি কোনো ব্যক্তি বা সরকারের বিরুদ্ধে যতটা না, তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল সর্বগ্রাসী পুঁজিবাদের নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে। কবিতাটি সময়োপযোগী শুধু ছিল না, বিশ্বব্যাপী বুভুক্ষু মানুষের পক্ষে এটি ছিল এক বলিষ্ঠ উচ্চারণ, যার প্রয়োজনীয়তা আজো ফুরিয়ে যায়নি। তাই আজকে যখন মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়, তখন এই কবিতাটি আমাদের সামনে চলে আসে।
অমর সেই কবিতার কবি রফিক আজাদ আর নেই। আজ শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর সেই কবিতাটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
ভাতদেহারামজাদা
ভীষণ ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শরীরবৃত্ত ব্যেপে
অনুভূত হতে থাকে- প্রতিপলে- সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
অনাবৃষ্টি- যেমন চৈত্রের শষ্যক্ষেত্রে- জ্বেলে দ্যায়