ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেয়া আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ সোমবার তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিবার নির্বাচন কমিশন রংপুর-৬ আসনে তফসিল ঘোষণা করে।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ঐ আসনে নির্বাচন হবে। এর আগেরবার অর্থাৎ নবম সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালি-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। পরে সংরক্ষিত আসনে এমপি হয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন।
ওই আসনে উপনির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে স্পিকারের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছায়াদৎ হোসেন বকুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলু। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার ছেড়ে দেয়া রংপুর-৬ আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গত ৫ জানুয়ারির ভোটে গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা। এরপর তিনি গোপালগঞ্জের আসনটি রেখে নিজের শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের আসনটি ছেড়ে দিলে ৮ জানুয়ারি আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসন থেকে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম তুললেও দলের মনোনয়ন পাননি দেশের প্রথম নারী স্পিকার শিরীন শারমিন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য হিসেবে নবম জাতীয় সংসদে প্রথম আইনসভায় আসেন পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিন। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব। মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।
১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম স্থান নিয়ে এসএসসি পাস করেন শিরীন। দুই বছর পর একই বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাস করেন।
শিরীন বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৯২ সালে।