দলের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে তিন সপ্তাহ আগেই সম্মেলন মঞ্চের নকশা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলনের মাধ্যমে দলে নতুন নেতৃত্ব আসবে।
জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর ২৩ দিন আগে বুধবার রাতে এই নকশা চূড়ান্ত করে সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটি।
মঞ্চ সাজসজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলন সফল করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাজ শুরু হয়ে গেছে। নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় এখন সে আদলে মঞ্চ নির্মাণের কাজে হাত লাগাবো আমরা।’
উপ-কমিটির নেতারা জানান, নৌকা আকৃতির এ মঞ্চটি হবে ২৫ ফুটের। পেছনে ৩৫ ফুট লম্বা এলইডি পর্দা থাকবে। মঞ্চের ডানপাশে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সময় তোলা হয় ছবিটি। বামপাশে থাকবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। পেছনে থাকবে আওয়ামী লীগের পতাকার লোগো।
মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির সদস্যরা জানান, সম্মেলন মঞ্চের এই নকশা চূড়ান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর নকশা করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও চারুকলার শিল্পী ইউসুফ আলী হিরা।
মঞ্চের সামনের দিকে ২৩০ ফুট দীর্ঘ ও ১২৫ ফুট চওড়া খুঁটিবিহীন মঞ্চ থাকবে। যেখানে সাত হাজার অতিথির আসন থাকবে। এই মঞ্চে মূলত কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিদেশি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থান পাবেন।
আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, বিরোধী দল কংগ্রেস, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস, পাকিস্তানের উদারপন্থি কয়েকটি দল, চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না, ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধী দল লেবার পার্টি, যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধির পাশাপাশি রাশিয়া, জাপানসহ বন্ধুপ্রতীম বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এর পেছনে ৪০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার প্যান্ডেল থাকবে। প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা স্থান থাকবে। যেখানে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের জন্য নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ থাকবে।