দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই নেতার চতুর্থ দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটির সিনিয়র নেতারা ছাড়াও হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
জানাজায় ইমামতি করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক। এ সময় মরহুমের ছেলে রিয়াজুল হান্নান বাবার পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চান।
এর আগে মহাখালী ডিএইচএসের কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় দফা, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হান্নান শাহের তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ আনা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীরা প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে নয়াপল্টনে হাজির হন। বেলা একটার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি নয়াপল্টনে এলে এক শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের জন্য হান্নান শাহর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে তার জন্য দোয়া চান।
দলীয় পতাকা দিয়ে হান্নান শাহর কফিন ঢেকে দেয়া হয়। প্রথমে দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এই সময় সেখানে কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
জানাজায় বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, আহমদ আজম খান, মো. শাহজাহান, আব্দুস সালাম, জয়নাল আবদিন ফারুক, ফজলুল হক মিলন, গিয়াস কাদের চৌধুরী, ২০দলের শরিক দলের নেতা শফিউল আলম প্রধান, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
জানাজায় অংশ নেয়া তাঁতীদলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ঢাকাটাইমসকে জানান, সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পর বিএনপির কোনো নেতার জানাজায় এত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি হয়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পশ্চিম দিকে কফিন রাখা হয়। আর জানাজায় উপস্থিতি পূর্বে জোনাকী সিনেমা হল পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়। এতেই প্রমাণ হয় আ স ম হান্নান শাহ কতটা জনপ্রিয় ছিলেন।