বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসায় যান দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসে হান্নান শাহের বাসায় যান তিনি।
হান্নান শাহর বাড়িতে ঢুকে প্রথমে খালেদা হান্নান শাহের স্ত্রী নাহিদ হান্নানসহ সন্তানদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দেন।এরপর প্রয়াত নেতার মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কফিনের সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যার পর থেকে বিএনপি এবং তার জোট শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা হান্নান শাহর কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজিবুর রহমান, কর্ম পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, সাম্যবাদী দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, সাবেক কূটনীতিক রাশেদ আহমেদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক সেখানে ছিলেন। পরে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।
গত ৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা হান্নান শাহকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর হান্নান শাহকে সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হার্ট সেন্টার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার পর তার মৃত্যু হয়।
সন্ধ্যায় হান্নান শাহের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আব্দুল্লাহ আল নোমান, শায়রুল কবির খানসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে মরদেহ নেয়া হয় মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের বাসায়। রাতে মরদেহ সিএমএইচ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মহাখালী ডিওএইচএস জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা, সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা শেষে আবার মরদেহ নেয়া হবে সিএমএইচের হিমঘরে। শুক্রবার গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতাকে।