বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএস মসজিদে জানাজা শেষে মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেয়া হচ্ছে। সেখানে সকাল ১১টায় তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হবে। বাদ জোহর জানাজা শেষে মরদেহ আবার হিমঘরে নেয়া হবে।
জানাজায় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপি নেতা ড. ওসমান ফারুক, কর্ণেল অলি আহমেদ, বহিষ্কৃত নেতা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, সৈয়দ ইবরাহীম বীরপ্রতীক, নাজিম উদ্দিন আলমসহ হান্নান শাহের সামরিক জীবনের সাবেক সহকর্মী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও স্থানীয়রা বাসিন্দারা অংশ নেন।
জানাজার আগে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, এই পরিস্থিতিতে তার মতো একজন সাহসী মানুষের দরকার ছিল। আমি দীর্ঘদিন তার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। এ কারণে আমি জানি তিনি একজন ভালো মানুষ।
৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হলে হান্নান শাহকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর তাকে ভর্তি করা হয় সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হার্ট সেন্টার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। গত মঙ্গলবার বাদ এশা সিঙ্গাপুরের ছেরাঙ্গন রোডের অ্যাঙ্গলিয়া জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের এক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছানোর পর তা নেয়া হয় মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের বাসায়। রাতে সেখানে গিয়ে মরহুমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় তিনি হান্নান শাহের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান। দলীয় চেয়ারপারসন মরহুমের বাসায় পৌঁছানের পর সেখানে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। খালেদা জিয়াও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
শুক্রবার সকালে সড়কপথে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হবে হান্নান শাহের মরদেহ। সকাল নয়টায় জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে, সকাল সাড়ে ১০টায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ও জুমার পর নিজগ্রাম চালাবাজার উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হবে বিএনপির এই শীর্ষ নেতাকে।