গণতান্ত্রিক চর্চাকে সুসংহত করতেই হবে। এজন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিকল্প নেই। মুক্তমত প্রকাশের ধারাকে ব্যাহত হতে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু স্বাধীনতার মানে এই নয় যা খুশি তাই প্রকাশ করব। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণাদি ছাড়া কাউকে অভিযুক্ত করা, অভিযুক্তের বক্তব্য না নেওয়া সাংবাদিকতার রীতিনীতির মধ্যে কতখানি পড়ে? সেই প্রশ্নও তো উঠছে। তথ্য, প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের এই যুগে গণমাধ্যমের প্রচার, প্রসার দুটোই বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। চাইলেই সহজে মুক্তমত প্রকাশ করা যাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে সাংবাদিকতার রীতিনীতির বাইরে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রচারের হাতিয়ার করাটা কতখানি যুক্তিযুক্ত সেটিও ভেবে দেখতে হবে। মত প্রকাশের নামে কেউ যদি অন্য কারো ক্রীড়নক হয় সেটি কি সাংবাদিকতার সংজ্ঞায় পড়বে? একজন সাংবাদিক তার গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করবেন এটাই তো কাম্য। তা না করে ফেসবুকে কিছু প্রচার করে কতখানি দায়িত্বশীল সাংবাদিকের আচরণ করছেন সেই প্রশ্নই তো বিভিন্ন মহলে উঠছে। এজন্যই কি সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ৫৭ ধারার পক্ষে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে? তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা অত্যন্ত বিপজ্জনক। শুরু থেকেই আমরা এর বিপক্ষে। এ নিয়ে আমরা শুরু থেকেই সোচ্চার। ৫৭ ধারার অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি লঘু অপরাধে গুরুদ- হওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে। আমরা এই ধারার সংশোধন চাই। পাশাপাশি মুক্তমত প্রকাশে শৃঙ্খলা থাকাটা উচিত বলে মনে করি।
ফরিদপুরের বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি অরুণ গুহ মজুমদার তার বাড়িটি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা, সাক্ষী, শনাক্তকারী, দলিল লেখক সাব রেজিস্টার সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রমাণাদিও আমরা পেয়েছি। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন সাংবাদিক কিনা কথিত দখলের অভিযোগ আনলেন। তিনি তো তার কাগজে এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারতেন। তা না করে সস্তা প্রচারের যে সুযোগ তিনি নিলেন তা-কি সাংবাদিকতার জন্য কোনো শুভ লক্ষণ? এসব কীসের আলামত?