দেশে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য আবারও বাড়িয়েছে সরকার। বিষয়টি কতটা সময়োচিত এই প্রশ্ন উঠেছে। এমনিতেই রাজধানীর কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে অন্যান্য পণ্য ও সেবার দাম যেখানে মানুষের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে সেখানে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মরার উপর খাড়ার ঘা। এমন আলোচনাই হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি, বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠী কিছুদিন ধরে চাপের মধ্যেই ছিলেন। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন ছিল বলে আমরা মনে করি।
সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা কতখানি যুক্তিসঙ্গত সেই প্রশ্ন বরাবরই ছিল। কিন্তু তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ফরিদপুরের একটি ঘটনা। সেখানকার অরুণ গুহ মজুমদারের পুরনো বাড়ি এলজিআরডিমন্ত্রী দখলে নিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ পেয়েছে মর্মে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ আনলেন। অরুণ গুহ মজুমদারকে জোর করে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এমন প্রচারও চললো। কদিন এ নিয়ে হইচইও হলো বেশ। বাস্তবতা হলো অরুণ গুহ মজুমদার বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। ফরিদপুরেই বহাল তবিয়তে আছেন। স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি ন্যায্যমূল্যে তার পুরনো বাড়িটি এলজিআরডিমন্ত্রীর কাছে বিক্রি করেছেন। ভারতে গিয়েছিলেন একমাত্র মেয়েকে ভারতে বরোদার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.ফিলে ভর্তি করানোর জন্য। বিস্ময় প্রকাশ করে অরুণ গুহ মজুমদার বলেন, তার কথিত দেশত্যাগের কাহিনী, জোরপূর্বক বাড়ি বিক্রির কথা যারা প্রচার করেছেন তাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে।
প্রশ্ন হলো তথ্য যাচাই-বাছাই না করে এভাবে প্রচার কতখানি সঙ্গত? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া কোনো তথ্য কি একমাত্র সূত্র হতে পারে? প্রতিষ্ঠিত সনামধন্য সামাজিক সংগঠন কি যেনতেনোভাবে কারো প্রচার, অপপ্রচারের হাতিয়ার হতে পারে? এটা কি কোনো শুভ লক্ষণ?