বৃষ্টি এলেই ঢাকার রাস্তায় থই থই পানি। একে তো যানজটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে তার ওপর জলাবদ্ধতা বোঝার উপর শাকের আঁটি। এই সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এটি দিনের পর দিন অপরিকল্পিত নগরায়নের ফল। পাশাপাশি ঢাকার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বড় সমস্যাই বটে। ঢাকা শহরের খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষ-সৃষ্ট বর্জ্য নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও দুর্বলতা রয়েছে। যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা ফেলার কারণে নালাগুলো ভরে যায়। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে বর্ষা এলে জলজটের কবলে পড়ে ভোগান্তির সীমা থাকে না নগরবাসীর। সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত মিলিয়ে মোট ৫৪টি সংস্থা ঢাকা রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে পারলে শুধু জলাবদ্ধতাই নয়, পরিচ্ছন্ন ঢাকাও উপহার দেওয়া যাবে নগরবাসীকে।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রবিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনের বিষয়ে দেশে রাজনৈতিক বিভাজন চলমান থাকলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থন বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও মানুষের মনোভাব ইতিবাচক। অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও তারা আশাবাদী। মার্কিন জরিপ প্রতিষ্ঠানের এই ফলাফল নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে এ ধারা ধরে রাখতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশের অর্থনীতি বারবারই হোঁচট খেয়েছে। বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এটি ধরে রাখতে হবে। আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না। কারণ রাজনীতি তো মানুষের কল্যাণের জন্যই। তাই রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার আগে জনগণের কথা বিবেচনায় রাখা জরুরি। জরিপে সরকারের সমর্থনের পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে জনগণের উদ্বেগের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল নিঃসন্দেহ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে বিশ্বাস করি। পাশাপাশি দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে জনগণের সহযোগিতাও কাম্য।