জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশ্বে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এত দক্ষতা পৃথিবীর খুব কম দেশই দেখাতে পেরেছে। এতে স্বীকৃতিও মিলেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পদক ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’। এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য গর্বের, সম্মানেরও। তথ্য ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের ছোঁয়া থেকে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। গত পাঁচ বছরে দেশে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে গেছে আইসিটি খাত। মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের সুবাদে তৃণমূলে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সেবা। তৈরি হয়েছে নতুন কাজের সুযোগ। ঘরে বসেও আয় করে সচ্ছল জীবনযাপন করছে মানুষ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি এড়িয়ে যায়নি। তথ্য প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পদক’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুটো আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের পিস্তলের গুলিতে শিশু সৌরভ আহত হওয়ার ঘটনা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনার পর থেকে সংসদ সদস্য নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। আহত সৌরভের বাবা এ ঘটনায় সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ তাকে বাঁচাতে চাইছে বলে অভিযোগ আছে। দেশে ফিরে রবিবার সংবাদ সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিও অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। এখন অপেক্ষা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজার এবং রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যার পর দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের তৎপরতার দাবি উঠেছে। দুটো হত্যাকাণ্ডের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের দাবি করা হচ্ছে। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টই বলেছেন, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা? সেই প্রশ্নের জবাব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্যই জরুরি।