স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার উদ্যোগ তৃণমূলে গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত করবে। বাড়বে দলীয় জবাবদিহিতা। দলের প্রতি নেতা-কর্মীদের আনুগত্য ও আস্থাও সুদৃঢ় হবে। কাগজে-কলমে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে এতদিন নির্দলীয় বলা হলেও মূলত দলীয়ভাবেই নির্বাচন হয়ে আসছে। প্রার্থী মনোনয়নে আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও দলের ‘সমর্থন’ দেওয়া হতো পছন্দের ব্যক্তিকে। প্রচার-প্রচারণাতেও ব্যবহার হয় নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পরিচয়। এতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়েও দেখা দেয় প্রশ্ন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোনো রাজনৈতিক পক্ষ যেন এই সুযোগের অপব্যবহার করতে না পারেন। তা হলে এই উদ্যোগ বিতর্কিত হয়ে পড়বে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল প্রভাব বিস্তার করার জন্য দলীয়ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতীতে স্থানীয় সরকারের যত নির্বাচন হয়েছে কোনোটিই কি দলীয় বলয়ের বাইরে হয়েছে? সর্বশেষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তো খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তও এসেছে দলীয়ভাবে। তা হলে এই প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিলে ক্ষতি কোথায়?
মদ্যপ অবস্থায় শিশু সৌরভকে গুলি করার অভিযোগ করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় সৌরভের পরিবার খুশি হলেও নতুন আতঙ্কে আছে তারা। লিটনের সহযোগীরা তাদের পরিবারের ওপর চড়াও হতে পারে, এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই আতঙ্ক দূর করতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সৌরভের পরিবারের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ভারতে মুক্ত চিন্তার দুজন লেখক খুন হওয়ার ঘটনায় বিরল প্রতিবাদ দেখিয়েছে দেশটির শিল্প-সাহিত্যের বিশিষ্টজনরা। পদ্মশ্রী, সাহিত্য একাডেমির মতো জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দেশটির ৪১ জন লেখক, সাহিত্যিক। এটি শুধু ভারতই নয়, বাংলাদেশের জন্যও শিক্ষণীয় বটে।