বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির হার দিনদিন বাড়ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ ভাগ এখন মধ্যবিত্ত। ২০৩০ সালে এই হার গিয়ে দাঁড়াবে এক-তৃতীয়াংশে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে মোট জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৯৫ লাখের বেশি। সে হিসাবে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী সাড়ে তিন কোটির বেশি। এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে দেশের জন্য ইতিবাচক। কারণ দেশে মধ্যবিত্তের হার বেশি হলে অর্থনীতির স্থায়িত্ব হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যবিত্তের প্রায় অর্ধেক বেসরকারি চাকরি করেন। সরকারি চাকরি করেন ২০ শতাংশের কিছু বেশি। আর ব্যবসা করেন ২২ শতাংশ জনগোষ্ঠী। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মধ্যবিত্তের বিকাশ মানেই সেবা খাতের বিস্তৃতি। কারণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অর্ধেকের বেশি আসে এই খাত থেকে। এক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের বিকাশের সঙ্গে জিডিপির অগ্রগতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তা অর্জন করতে হলে মধ্যবিত্তের বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তবে আন্তর্জাতিক মানদ-ের ওপর ভর করে দিনে ন্যূনতম তিন ডলার আয়ের মানুষকে যেভাবে মধ্যবিত্তের কাতারে আনা হয়েছে তাই শ্রেণিবিন্যাসের একমাত্র উপায় হতে পারে না। পাশাপাশি মধ্যবিত্তের মূল্যবোধগুলোও বিবেচনায় আনতে হবে।
গত ২২ অক্টোবর গাবতলীতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এর দিন পনেরোর মাথায় গত ৪ নভেম্বর আশুলিয়ার বাড়ইপাড়ায় কুপিয়ে খুন করা হয় আরেক পুলিশ সদস্য মুকুল হোসেনকে। দুটি খুনই হয়েছে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে। প্রশ্ন, পুলিশের তল্লাশি চৌকির নিরাপত্তা কি এতই দুর্বল? আশুলিয়া ও ঢাকা জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাড়ইপাড়ায় কর্তব্যরত পাঁচ পুলিশ সদস্যের কারও রাইফেলেই গুলি ছিল না। তাই হামলার শিকার হওয়ার পর তারা পাল্টা প্রতিরোধ করতে পারেনি। বরং শালবনে দৌড়ে পালিয়ে বেঁচেছেন তিনজন পুলিশ সদস্য। পুলিশ যদি নিজেরাই নিরাপত্তা সংকটে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে?
কালের পরিক্রমায় কখনো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সমঝোতা, কখনো বা জোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধার পর ক্ষমতায় স্বাদ পাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয় জামায়াতের। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর জামায়াত নানা সময় হম্বিতম্বি করলেও কখনো আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। হঠাৎ করেই লাপাত্তা হয়ে গেছে দলটি। দলীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। প্রকাশ্যে নেই নেতা-কর্মীরা। ফাঁসির মুখে কেন্দ্রীয় নেতারা। এর মধ্যে দেশে ঘটছে নানা ঘটনা। আক্রান্ত হচ্ছেন মুক্তচিন্তার মানুষ, আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, নানা সংগঠনের নামে অপতৎপরতা চালাচ্ছে আসলে জামায়াত-শিবির।