প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ১৯:১৯:১১আপডেট : ০১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৬:৪৮:৩৭
মসজিদে হামলা, নতুন নজির
আরিফুর রহমান
বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে দুর্বৃত্তদের হামলা নতুন নজির। ইতিপূর্বে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এ ধরনের হামলার খবর পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম। তবে কদিন আগে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে হাতে তৈরি গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বাংলাদেশে শিয়া-সুন্নির মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধের জের ধরে সংঘাতের কোনো নজির নেই। কম সময়ের ব্যবধানে এই দুটো হামলার ঘটনা কী বার্তা দিচ্ছে? সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি হত্যা, লেখক, প্রকাশক হত্যার পর হামলার দায় স্বীকার করে ওয়েবসাইটে ‘বার্তা প্রকাশ’ করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস। বৃহস্পতিবার বগুড়ায় মসজিদে হামলার পরও দায় স্বীকার করে ‘বার্তা’ দিয়েছে বলে জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স। আসলেই কি এসব হত্যাকা-ের পেছনে আইএসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই। তাহলে এসব হত্যার পর আইএসের নামে ‘দায় স্বীকার’ নাটকের খলনায়ক কারা? যতদ্রুত সম্ভব তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে যারা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে তাদের মুখোশও উন্মোচন হওয়া উচিত।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম পৌর মেয়র পদে দলীয়ভাবে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগও থাকবে। পৌরসভার কাউন্সিলররা আগের মতোই প্রার্থী হতে পারবেন। তাদের নির্বাচন দলীয়ভাবে হবে না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটও নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে তাদের দাবি পুনঃতফসিলের মাধ্যমে ভোট আরও ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়ার। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন, মেয়র নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সব কটিতেই অংশ নিয়েছে বিএনপি। এবারও দলীয়ভাবে হতে যাওয়া পৌরসভা নির্বাচনেও অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।কারণ, একাধিকবার ক্ষমতায় আসা দলটি বুঝতে পেরেছে, দলীয় জনসম্পৃক্ততা ধরে রাখতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভোটের রাজনীতি থেকে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এটি দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক।
বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) উত্তেজনায় ভাসছে দেশ। শুধু দেশের সুপার স্টারখ্যাত ক্রিকেটাররাই নন, উইলো আর বল হাতের ভিনদেশি তারকারাও এই আসরে খেলছেন। আন্তর্জাতিক পরিম-লে তো বটেই, দেশীয় ক্রিকেটে বিপিএল নতুনমাত্রা যোগ করেছে। ওয়ান ডে, টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রাখা বাংলাদেশ এখনও টি-টোয়েন্টিতে অনেকটাই পিছিয়ে। সীমিত ওভারের এই খেলার জন্য যে ধরনের মনোবল কিংবা দক্ষতা প্রয়োজন বাংলাদেশের ক্রিকেট এখনও ওই পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে ব্যক্তি সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিকদের নৈপুণ্য যে ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, তা বলতে দ্বিধা নেই। ক্রিকেট এগিয়ে যাক, এগিয়ে যাক টাইগাররা, এই প্রত্যাশা।