চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর মসজিদে দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দুপুরে বিএনএস ঈসা খাঁ ঘাঁটির ওই মসজিদে জুমার নামাজের পরপরই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। তবে কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। কাউকে আটক করাও সম্ভব হয়নি। আমাদের দাবি অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। মসজিদে বোমা হামলার মতো ঘটনা বাংলাদেশে কখনো ঘটেনি। কিছুদিন আগে বগুড়ার একটি শিয়া মসজিদে গুলি করে নামাজরত মুসল্লিকে হত্যার মধ্য দিয়ে এর সূত্রপাত। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক, তারা সন্ত্রাসী। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে এই প্রত্যাশা।
স্বপ্নের পদ্মাসেতু সত্যি হতে চলছে। শুরু হয়েছে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ। এখন শুধু এগিয়ে যাওয়া। নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় প্রকল্প আগে কখনও বাস্তবায়ন করেনি সরকার। তাই পদ্মাসেতু শুধু কর্মযজ্ঞই নয়, চ্যালেঞ্জও বটে। তবে বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী ঋণচুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। বিষয়টি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বিশ্বব্যাংকও। গত সপ্তাহে ঢাকা সফরে এসে সংস্থাটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলে গেলেন, ‘নিজের ওপর ভরসা করে পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ১০ বছর আগে হলে এটা ভাবা যেত না। তখন ভাবা হতো, এত বিদেশি মুদ্রা কোথায় পাব? এখন একটি স্বাস্থ্যবান বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আছে।’ কৌশিক বসুর এই বক্তব্য হালকাভাবে নেওয়ার নয়, বরং বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক কী ভাবছে বস্তুত তারই চিত্র। দক্ষিণাঞ্চলের ভাগ্যোন্নয়নে আশা দেখাচ্ছে পদ্মাসেতু। দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধিতেও বড়সড় ভূমিকা রাখবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু। তবে সেই জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। খেয়াল রাখতে হবে, নির্মাণ কাজ এখন যেভাবে এগিয়ে চলছে তাতে যেন ছন্দপতন না হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছেদ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে হলেও এমন সিদ্ধান্ত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও জোরালো করেছে। কারণ, ভুলে গেলে চলবে না একাত্তরের শত্রুরা এখনও সক্রিয় আছে। তারা সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জঙ্গিবাদ ও তালেবানদের অভয় আশ্রয় পাকিস্তান ধীরে ধীরে প্রায় ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকেও সে পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা রুখতে হবে কঠোর হাতে।