সদ্য ঘোষিত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে একাধিক নেতা পদ পেলেও হতাশায় ভুগছেন খুলনার নেতারা। তাদের আশঙ্কা দল ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি অনুসরণ করলে যারা পদ পেয়েছেন তারা আর খুলনার কোনো কমিটিতে আসতে পারবেন না। এটাই তাদের হতাশার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও কমিটিতে নতুন করে কেউ স্থান না পাওয়ায় এবং পুরাতনদের পদোন্নতি না হওয়ায় খুলনার বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ বলে জানা গেছে।
গত ১৯ মার্চ দলের জাতীয় কাউন্সিলের প্রায় পাঁচমাস পর শনিবার ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। স্থায়ী কমিটির সংখ্যা ঠিক রাখলেও অন্যান্য পদে নেতার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে বেশিরভাগ এলাকায় নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন।
তেমনি খুলনা থেকেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে বেশ কয়েকজন নেতা পদ পেয়েছেন। তবে নতুন কমিটিতে জায়গা হয়নি খুলনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম নুরুল ইসলাম (দাদু ভাই)।
তাকে কোনো পদে না রাখা নিয়ে খুলনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কমিটি ঘোষণার পর দেখা গেছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পুরাতন পদে আগের নেতারাই বহাল রয়েছেন। তবে তাদের থেকে নিচের সারির নেতারা স্থান পেয়েছেন ওপরের পদে। খুলনার নতুন কেউই কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাননি।
যদিও নগর বিএনপির এক বিবৃতিতে নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়েছে, ঘোষিত কমিটিতে বিগত দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখা গেছে,আবারো চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম মাজিদুল ইসলাম। নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু আছেন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে।
নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে খুলনার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলী আজগর লবী,মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী সৈয়দা নার্গিস আলী, মামুন রহমান এফসিএ, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তুজা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি।
নির্বাহী কমিটির পদে এরা যথাক্রমে ১৫৬ থেকে ১৬২ নম্বর সদস্য তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এর আগের কমিটিতেও তারা এই পদেই ছিলেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুর বারী হেলাল তথ্য বিষয়ক সম্পাদক পদ পেয়েছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদে আছেন শরীফ শাহ কামাল তাজ।