যুদ্ধাপরাধ: ময়মনসিংহের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২০:০৩:৫৬
যুদ্ধাপরাধ: ময়মনসিংহের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার দুজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। বুধবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলা শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেষ সাহা ও শেখ মোসফেক কবির।
দুই আসামির মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন। আরেক আসামি ওয়াজউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করেন। চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অভিযুক্ত দুই আসামিই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
২০১৫ সালের ১১ আগস্ট ফুলবাড়িয়া উপজেলার কেশরগঞ্জ গ্রাম থেকে আমজাদ হোসেন ও ভালুকজান গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকায় নেয়ার পথে গাজীপুরে পুলিশের পিকআপের সঙ্গে একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের আহত হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেলে আমজাদ হোসেন মারা যান।
দুই আসামির বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ
প্রথম অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার কালাইরপাড়, চকলাইড়িপাড়া গ্রাম ও ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডেও শহীদ শহীদুল্লাহ মাস্টার, শহীদ আব্দুল মজিদ ও শহীদ জমশেদ আলীকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট ফুলবাড়িয়া থানার বিদ্যান্দন ও বেতবড়ী গ্রামের স্বর্গীয় সুরেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, শহীদ হাবিবুর রহমান তালুকদার ও শহীদ জয়গুন নেছারসহ তিনজনকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও গুলি করে হত্যা।
তৃতীয় অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ৫ নভেম্বর ফুলবাড়িয়া থানাধীন ঋষিপাড়ার স্বর্গীয় মন্দির ঋষিসহ আটজন হিন্দুকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। ঋষিপাড়ার তিনজন হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ করে।
চতুর্থ অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর ফুলবাড়ীয়া থানার বেতবাড়ি, ভবাণীপুর, সোয়াইতপুর, এনায়েতপুর, বাঁশদি ও হোরবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার শহীদ ইসমাঈল হোসেন মাস্টারসহ ৪৩ জনকে অপহরণ করে নির্যাতনের পর গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয়।
পঞ্চম অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর ফুলবাড়িয়া থানাধীন ভালুহজান গ্রামের একই পরিবারের তিন সহোদর শহীদ আলতাফ আলী মন্ডল, শহীদ তালেব আলী মন্ডল, শহীদ সেকান্দার আলী মন্ডলকে অপহরণের পর নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এই পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।