ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় আগামী ১৮ অক্টোবর চার্জ শুনানি দিন ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই দিন ঠিক করেন। ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম ও ভাঙ্গীর সোহেল পলাতক মর্মে প্রতিবেদন আসায় এ দিন ঠিক করা হয়।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট মামলাটিতে এই দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরানোয়া জারি করে আদালত।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী গত ২৮ জুন মামলাটিতে কাইয়ুম কমিশনারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
চাজশিটের অপর ছয়জন আসামি হলেন, এম এ কাইয়ুমের এর ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল ও শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারি সোহেল।
তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মতিনসহ স্বীকারোক্তিকারী চারজন কারাগারে এবং কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চার্জশিটে আসামি রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে এমএ মতিনের নাম বলেছেন। তবে মতিন রিমান্ডে ডিবির কাছে তাবেলা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দেননি।
চার্জশিটে বলা হয়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
চার্জশিটে আরও বলা হয়, ভাঙারি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাবেলাকে হত্যা করেন। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ, রাসেল চৌধুরী গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান। ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানা প্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে সিজার তাবেলাকে (৫১) হত্যা করেন। এতে তাকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল। মোটরসাইকেলটি চালিয়েছিলেন মিনহাজুল। মামলায় ওই মোটরসাইকেল আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
চার্জশিটে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে সিজার তাবেলাকে হত্যা করা হয়। কাইয়ুম পরিকল্পনা করলেও তা বান্তবায়ন করেন তার ছোটভাই আবদুল মতিন। পিস্তল সরবরাহকারী সোহেল গ্রেপ্তার না হওয়ায় পিস্তলটি উদ্ধার না সম্ভব হয়নি। তবে পিস্তলটি না পেলেও ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
তাবেলা নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।