টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়কে নিয়ে ফেইসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করায় স্কুল ছাত্রকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে এসে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুল আলম। আগামী ১৮ অক্টোবর এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের দ্বৈত বেঞ্চ।
ওই স্কুল ছাত্রকে সাজা দেয়ার বিষয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নজরে আনলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ইউএনও এবং ওসিকে ২৭ সেপ্টেম্বর উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন। একইসঙ্গে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষার্থীকে আদালত জামিনে মুক্তির নির্দেশও দেন।
মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনে দুই সরকারি কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য দেন। এ সময় আদালতে ছিলেন ওই স্কুল ছাত্রও। সে জানায়, সাজা দেয়ার আগে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তিনি এর বর্ণনা দেন।
ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম ও ওসি মাকসুদুল আলমের পক্ষে ছিলেন নুরুল ইসলাম সুজন।
যে ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট ও ওসিকে তলব
পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টাঙ্গাইলের সখিপুরে প্রতীমা বঙ্কি পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউএনও রফিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
এতে আরও বলা হয়, এর আগের দিন টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় ওই বালকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। দণ্ডের পর ১৯ সেপ্টেম্বর ওই বালককে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছেলেটি ফেসবুকে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে ওই ম্যাজিস্ট্রেট জানান। ওই বালকের বয়স ১৯ বছর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জিডির বরাত দিয়ে সখিপুরের ওসি বলেন, ওই ছেলে সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহানকে মেসেঞ্জারে হুমকি দেয় যে, ‘আপনার সময় ফুরিয়ে আসছে’। আর ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রে উল্লেখ করা হয়, তাকে তথ্য প্রযুক্তি আইনে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আইনের কোন ধারায় দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি।