বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইউকে-বাংলা ট্রেডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আহমেদ তাজউদ্দিনকে শর্তসাপেক্ষে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতি দুই মাস পরপর দুই কোটি টাকা করে পরিশোধ করার শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, আত্মসমর্পণের দিন তাকে দুই কোটি টাকা বেসিক ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এছাড়া প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর দুই কোটি টাকা করে ব্যাংকে জমা দিতে বলেছে। এই শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে তার জামিন বাতিল হবে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তিনটি থানায় পৃথক ১৮টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাড়ে ছয়শ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় সর্বমোট আসামির সংখ্যা ১৫৩ জন।
এসব মামলার মধ্যে ইউকে-বাংলার বিরুদ্ধে বেসিক ব্যাংক লি. গুলশান শাখা থেকে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা (যা বর্তমানে সুদসহ মোট ৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ২০১১ সালের ৪ মে থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- মেসার্স ইউকে বাংলা ট্রেডিং লি. এর চেয়ারম্যান আহমেদ তাজউদ্দিন, পরিচালক মো. মুস্তাকুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক ও ক্রেডিট ইনচার্জ/রিলেশনশিপ ম্যানেজার মহিবুল হক, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (উপ-মহাব্যবস্থাপক) ও শাখা ঋণ কমিটির প্রধান সিপার আহমেদ, প্রাক্তন এমডি ও সিইও কাজী ফখরুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সভাপতি (প্রধান কার্যালয়, ক্রেডিট কমিটি) ফজলুস সোবহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, কমার্শিয়াল ক্রেডিট ডিভিশন কনক কুমার পুরকায়স্থ, মহাব্যবস্থাপক, কমার্শিয়াল ক্রেডিট ডিভিশন; সহ-সভাপতি, ডিসভার্সমেন্ট কমিটি এবং সদস্য সচিব এ. মোনায়েম খান ও চিফ সার্ভেয়ার, পিএসআর সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন কোং জসিম উদ্দিন চৌধুরী।