ঢাকার অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় বুড়িগঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি প্রকল্পের মোট ৫০ একর ৮৯ শতাংশ জমিতে লাল নিশান সাটিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাইদুল ইসলাম।
একটি দুর্নীতি মামলায় ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর খোকার সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩। পাশাপাশি খোকাকে ১৩ বছরের কারাদ- দেয় আদালত। রায়ে বলা হয় বিএনপির এই শীর্ষ নেতা ১০ কোটি পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এই সব সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয় ওই রায়ে।
এই আদেশ অনুযায়ী গুলশানে বিএনপি নেতার একটি ছয় তলা বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয় গত বুধবার। বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয় তার রূপগঞ্জ সম্পত্তিতে।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে রূপগঞ্জের তেতলাবো, গোলাকান্দাইল ও কর্ণগোপ মৌজায় বুড়িগঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে কৃষি জমি কেনেন সাদেক হোসেন খোকা। সেখানে জমি পাহারা দেয়ার জন্য ১৫ থেকে ২০ জন আনসার নিয়োগ দেয়া হয়। স্থানীয় বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী এই প্রকল্পটি দেখাশোনা করছেন। ওই প্রজেক্টে ২০ থেকে ২৫ বিঘা সরকারি খাস জমিও রয়েছে। ভুয়া দলিল বানিয়ে এই জমিও প্রকল্পের নামে লিখে নিয়েছেন খোকা। এছাড়া অনেক স্থানীয় কৃষকের জমিও জবরদখলসহ জাল দলিলে দখল করা হয়েছে।
রূগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমরা ৫০ একর ৮৯ শতাংশ জমি বাজেয়াপ্ত করে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে। এখন জমি খাস খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
বর্তমানে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাদেক হোসেন খোকা। তিনি কবে দেশে আসবেন তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে দলের সূত্র। তার অবর্তমানে পলাতক দেখিয়েই দুর্নীতি মামলায় তার বিচার হয়েছে।