আদালতের কাঠগড়ায় র্যাবের হাবিলদারের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার প্রধান আাসমি নুর হোসেন। এ সময় র্যাবের হাবিলদার ইমদাদকে কিল ঘুষি মারেন নূর হোসেনের সহযোগীরাও। পরে পুলিশ এসে তাদের নিবৃত্ত করে।
শনিবার সাত খুন মামলার শুনানি চলার সময় বিরতিতে কাঠগড়ায় এ কাণ্ড ঘটান নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা। জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এজলাস কক্ষের গারদখানাতে ২৩ আসামি উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে বিরতির সময়ে তাদের জন্য ২৩টি বিরিয়ানির প্যাকেট আনা হয়। তখন আসামি র্যাবের হাবিলদার এমদাদ হোসেন বাথরুমে যান। তিনি এসে খাবারের প্যাকেট না পেয়ে হৈচৈ শুরু করেন। নূর হোসেনের সঙ্গে এমদাদের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে একে অপরকে চপেটাঘাতও করেন নুর হোসেন ও এমদাদ। পরে নূর হোসেনের অনুগামী আসামি মর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদসহ অন্যরা এসে এমদাদকে মারধর করেন। তখন পুলিশ এসে তাদের নিবৃত্ত করে।
আদালতের আসামিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল জানান, খাবার নিয়ে আসামিদের মধ্যে বাক্য বিনিময় হয়েছে তখন হয়তো ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
সাত খুনের দুই মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডলের জেরা শেষ করেছেন আসামি আরিফ হোসেনের আইনজীবী।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় দুটি মামলায় মামলার ৩৫ জনের বিচার চলছে। এই মামলায় র্যাবের আট সদস্যসহ ১২ জন পলাতক।