২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় শেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে শনিবার তিনি এ সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেছেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত একটানা প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত তিনি মামলাটিতে ২২৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি অব্যাহত থাকা অবস্থায় আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর অবশিষ্ট জবানবন্দি এবং জেরার দিন ঠিক করা হয়।
সূত্র জানায়, এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলেই রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে। ফলে এরপর মামলার আত্মপক্ষ শুনানি এবং যুক্তিতর্কের পর রায় ঘোষণা হবে।
এর আগে মামলাটির প্রথম চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তঅ সিআইডির এএসপি মো. ফজলুল কবীর গত ১ জুন ২২৪ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু হওয়ার পর প্রায় চার মাস পর তা শেষ হয়।
মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।
অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২৪ জন কারাগারে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।