মানিকগঞ্জে সড়ক বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের মামলায় তিন পুলিশ সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য দেয়া তিন পুলিশ সদস্য হলেন, বরঙ্গাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম, ঘিওর থানার তৎকালীন উপপরির্দশক (এসআই) এনামুল হক ও কনস্টেবল লিটন কাজী।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় ফিরছিলেন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ আরও কয়েকজন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন।
এ ঘটনায় ওই দিনই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে বাসচালক জামির হোসেনকে আসামি করে ঘিওর থানার তৎকালীন এসআই লুৎফর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ-উল ইসলাম মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বেলা একটার দিকে পুলিশের ওই তিন সদস্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন। জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান তাঁদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে (বাদীপক্ষ) মামলাটি পরিচালন করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলী (এপিপি) আফছারুল ইসলাম মনি। আসামিপক্ষে আইনজীবী মাধব সাহা মামলাটি পরিচালনা করেন।
আফছারুল ইসলাম জানান, সাক্ষ্যশুনানির সময় আসামি বাসচালক জামির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।