মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে আরও ১৬টি মামলা।
এসব মামলার আসামিরা হলেন- জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা দলটির নায়েবে আমির আব্দুস সুবহান ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোবারক হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও সাবেক এমপি পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটু, বাগেরহাটের শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার ও খান আকরাম হোসেন, পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক, নেত্রকোণার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহের, কিশোরগঞ্জের শামসুদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জের মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও তার চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাক এবং জামায়াত দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে জাপা নেতা সাখাওয়াৎ হোসেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৬টি আপিলের মধ্যে সাবেক এমপি পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারকে ট্রাইব্যুনালে দেয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। আর বাকি ১৫টি আপিল মামলায় আসামিরা তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে দেয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। পর্যায়ক্রমে এসব আপিল মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র।
আপিলের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত বছর ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন দাখিল করেছে, যা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউ’র চূড়ান্ত ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। -বাসস