তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ বরাদ্দ দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার এই রুল দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও হাসানুল হক ইনুকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান রিট আবেদনটি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল আলম বাবর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১২ মার্চ সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে দুই ভাগ হয় জাসদ। এরপর নিজেদের মূলধারা দাবি করে উভয় অংশই দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ বরাদ্দ পেতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল ইনু-শিরীন নেতৃত্বাধীন জাসদকে মূলধারা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইসি। এরপর গত ২৮ এপ্রিল তাদের মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। প্রতীক বরাদ্দের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে শরীফ নূরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ। কিন্তু ইসি তাদের আবেদনে সাড়া না দিলে এ ব্যাপারে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তারা। গত ২২ জুন ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে ওই রিভিউ নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শাহদীন মালিক জানান, নির্বাচন কমিশন কোনো শুনানি ছাড়াই একটি চিঠি দিয়ে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়ার কথা জানায় আবেদনকারীকে।
রিট আবেদনকারী পক্ষের শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, ‘হাইকোর্ট ৩০ দিনের ভেতর রিভিউ নিষ্পত্তি করতে বললেও নির্বাচন কমিশন আমাদের আর ডাকেননি। এরপর আমরা আবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করি।’