সঠিক ঘুম না হলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়, কাজে মন বসে না৷ চিকিৎসকদের মতে দিনে সাত-আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি৷ তবে কোনো কিছুই কিন্তু অতিরিক্ত ভালো নয়৷ যারা দিনে ১০-১২ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছেন তারা মোটেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নন৷ বেশি ঘুমানোর রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
হৃদরোগ: বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে৷ যারা দিনে আট ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৩৪ শতাংশ বেড়ে যায়৷ তাই অত্যাধিক ঘুমালে আজ থেকে চেষ্টা করুন ঘুমের পরিমাণ কমানোর৷
স্থূলতা: বর্তমানে এই সমস্যা ক্রমবর্ধমান৷ কম ঘুমালে যেমন এই সমস্যা দেখা দিতে পারে, ঠিক তেমনই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমালেও এই সমস্যা হয়৷ বেশি ঘুমালে শরীরের কোনও মুভমেন্ট হয় না ফলে ক্যালোরি বার্ন হয় না যার ফলে অতিরিক্ত মেদ জমে৷ বেশি না ঘুমিয়ে ব্যায়াম করুন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷
ডায়াবেটিস: বেশি ঘুমালে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়৷ যার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাছাড়া স্থূলতা ও ডায়াবেটিস হাত ধরাধরি করে চলতে পছন্দ করে৷
দুর্বল মস্তিষ্ক: খুব বেশি ঘুম আপনার চিন্তাশক্তি দুর্বল করে দেয়৷ ফলে কোনো কিছু মনে রাখতে না পারা, মাঝে মধ্যেই ভুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়৷ সবচেয়ে বড় বিপত্তি হল মনোযোগের অভাব দেখা দেয়, যার ফলে কলেজ হোক বা অফিস সব জায়গাতেই অসুবিধা হয়৷
আয়ুষ্কাল লোপ: ভয়ানক হলেও সত্যি এটাই৷ অত্যধিক ঘুম আয়ু কমিয়ে দেয়। রোগ না হলেও যারা বেশি ঘুমান তারা অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যান৷ হতাশা: যারা বেশি ঘুমান তাদের মুড সুইং খুব বেশি হয়৷ হতাশার পরিমাণও তাদের বেশি হয়৷ তাই বেশিও না কমও না, ঘুম সবসময় দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা।