এমন কিছু তথ্য আছে, যেগুলো না জানার কারণে কোরবানির পশু, মাংস ও চামড়া নিয়ে আমরা বিপাকে পড়ি। আসুন জেনে নেই সে সব বিষয়, যেগুলো পশু কেনা থেকে মাংস খাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে আমাদের ঝামেলামুক্ত রাখবে।
১. কোরবানির পশুর মাংস খেতে চাইলে সেই পশুকে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ওষুধ অথবা অন্য কোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ানো চলবে না। তাই রোগাক্রান্ত পশু কোরবানি করা ঠিক হবে না।
২. লম্বা ভ্রমণ, যানবাহনের ধাক্কা, দীর্ঘ সময়ের অনাহারে গবাদিপশু পরিবহনের সময় অনেক কষ্ট পায়। কোরবানির পশুকে এসব ভোগান্তি থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখতে হবে।
৩. পশুর জ্বর ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে চিকিৎসার কোনো দরকার নেই। এক্ষেত্রে পানি দিয়ে ঠা-া রাখা আর তরল খাবার খাওয়ানোই যথেষ্ট। তবে জ্বর ১০৪ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ, সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে।
৪. তীব্র ডায়রিয়া, রক্ত আমাশয় ও তাপমাত্রার অস্বাভাবিক উঠানামা পশুর বড় রকমের রোগের লক্ষণ। এক্ষেত্রে দ্রুত পশু চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এ ধরনের আক্রান্ত পশু কোরবানি করা যাবে না।
৫. কোরবানির পশু ঈদের আগের দিন কেনাই উত্তম।
৬. পশুকে বাড়িতে আনার পর বেশি বেশি পানি, খড় ও ঘাস খাওয়ালেই হবে। ভাত, আটা, ভুসি খাওয়ানো ঠিক নয়।
৭. পশু কোরবানি করার আগে তাকে গোসল করাতে হবে।
৮. শিশুদের পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখানো ঠিক নয়। এটা দেখলে সে ভয় পেতে পারে অথবা সহিংসতায় উৎসাহিত হতে পারে।
৯. চামড়া ছাড়াতে কিছুটা ভোঁতা চাকু ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু ধমনী ও শিরা কাটতে ধারাল চাকু রাখতে হবে।
১০. মাংস ও চামড়া পচন থেকে বাঁচাতে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
১১. কোরবানির মাংস দীর্ঘদিন খাওয়ার জন্য না রাখাই উত্তম।
১২. হলুদ, লবণ ও সোয়াবিন তেল মিশিয়ে মাংস সিদ্ধ করে রাখলে তা ভালো থাকে।
১৩. চর্বিমুক্ত মাংস শরীরের জন্য ভালো, আবার সংরক্ষণের জন্যও সুবিধাজনক।
ডা. আজমত আলী : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পশু চিকিৎসাবিষয়ক কর্মকর্তা ও গুলশান পেট অ্যানিমেল ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী